পাওনা টাকা চাওয়ায় মারধরে নিলুফার মাথা-হাতে ১৫ সেলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা লেকের বস্তিতে এক মহিলাকে হাশুয়া ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মাথা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখক করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন ভদ্রা লেকের বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই মহিলার নাম নিলুফা বেগম (৪০)। সে ওই এলাকার  শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বলে জানা গেছে। মারধরের কারণে মাথা ফেটে যাওয়ার তার মাথা ও হাতে১৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত নীলুফার স্বামী শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে বস্তির পাগলু নামের এক যুবকের কাছ থেকে নীলুফার ছেলে মিলন পাওনা টাকা চাইতে যান। এসময় মিলনের সঙ্গে পাগলুর কথা কাটাকাটিও হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে তারা উভয়ে নিজেদের মধ্যে বিষয়টির মিমাংসাও করেন।

কিন্তু ওইদিন রাত ৯ টার দিকে নগরীর হাজরাপুকুর এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে ওমর (২৩), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শিপন (২৪), রাহুল (২৫) ও শান্তসহ (২২) অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন নিলুফার ছেলে মিলন ও স্বামী শহিদুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় নীলুফা তার স্বামী ও ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে দেশিয় অস্ত্র, হাসুয়া, পাইপ, ও বাঁশ দিয়ে নিলুফার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধা করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলায় নিলুফার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফেটে যায়। এতে তার শরীরে ১৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুম মনির বলেন, মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিলুফার স্বামী শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এএইচ/এস