পাইলটের দেহে কোভিড ১৯, মাঝআকাশ থেকেই ফিরল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

বিমানচালক করোনা আক্রান্ত। তা জানতে পেরে মাঝআকাশ থেকে ফিরিয়ে আনা হল এয়ার ইন্ডিয়ার মস্কোগামী বিমান। শনিবার রাশিয়া থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে এ দিন মস্কোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কিন্তু ওই বিমানের পাইলটই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানতে পেরেই তাঁকে মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনে কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে বিতর্ক এড়ানো যায়নি। কোন পর্যায়ে গাফিলতির জেরে এমন কাণ্ড ঘটল, তা খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।

প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে মিশন ‘বন্দে ভারত’ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ রাশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে দিল্লি থেকে মস্কোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারবাস (এ৩২০এনইও)। বিমান যখন মাঝপথে, তখন কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ওই বিমানের চালক করোনা আক্রান্ত। আর এই খবরে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে যায়। তড়িঘড়ি বিমানচালককে দিল্লি ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১২টা নাগাদ দিল্লিতে ফিরে আসে বিমানটি।

বিমান মাটি ছুঁতেই স্বস্তি ফিরে আসে কর্তৃপক্ষের। চালককে আলাদা করে রাখা হয়। তাঁর সংস্পর্শে আসা বিমানকর্মীদেরও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। কিন্তু এমন কাণ্ডে বিপুল অস্বস্তির মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনাকে প্রাথমিক ভাবে গাফিলতি বলেই মনে করছে ডিজিসিএ। ডিজিসিএ-র মতে, পাইলট করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর বিমানে থাকার কথাই নয়। তা সত্ত্বেও তাঁকে কী ভাবে বিমান চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওই সংস্থাটি। জানানো হয়েছে, আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে অন্য একটি বিমান পাঠানো হবে।

দিল্লিতে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ন’হাজার ১৪২ জন। এমন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই কর্মীদের করোনা পরীক্ষা চালাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া।বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে গত ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে মিশন ‘বন্দে ভারত’। ইতিমধ্যেই ৪৫ হাজার ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক বলছে, ১৩ জুনের মধ্যে আরও এক লক্ষ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।