পাঁচ দিন পর কিউবার তেলের ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

পাঁচ দিনের চেষ্টায় কিউবার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন দেশটির দমকলকর্মীরা। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রধান মজুদের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবহন বিভাগের প্রধান জানান, ‘দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ’

সংবাদকর্মী ই ডি অগাস্টেন মাতানজাস বন্দর থেকে জানান, ‘মাতানজাস বন্দরে যে চারটি তেলের ট্যাংকে আগুন লেগেছিল সেগুলোর আগুন নিভে গেছে।

কালো ধোঁয়ার পরিবর্তে সেখান থেকে এখন ধূসর ধোঁয়া বের হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ’

অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে মাতানজাস কিউবার বৃহত্তম বন্দর। এখানের ১০টি বিশাল ট্যাংকারের তেল ও ডিজেল মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হতো। অগ্নিকাণ্ডে স্টোরেজ ট্যাংকারগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি স্টোরেজ ট্যাংকারে ৫০ মিলিয়ন লিটার জ্বালানি রাখা যেত।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে নিকটবর্তী মাতানজাস সাগরের পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়েনি বলে জানিয়েছেন তারা। তারা নিরাপত্তার খাতিরে হাভানার মতো দূরের শহরের বাসিন্দাদেরও মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এসিড বৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তেলের ট্যাংকারে বজ্রপাত আঘাত হানলে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। গতকাল মঙ্গলবার মেক্সিকো থেকে পাঠানো দুটি অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামসহ ফায়ারবোট এবং বিশেষ হেলিকপ্টার মাতানজাস বন্দরে আগুন নেভানোর চেষ্টায় যোগ দেয়। ১০০ জনের বেশি মেক্সিকান এবং ভেনিজুয়েলার দমকলকর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করার পরও রবিবার দ্বিতীয় তেলের ট্যাংকে আগুন লাগে। সোমবারের মধ্যে চারটি ট্যাংকারে আগুন ছড়িয়ে যায়।

শনিবার দ্বিতীয় ট্যাংকারে বিস্ফোরণে একজন দমকলকর্মী নিহত হয়েছেন, এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। এ ঘটনায় পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তত ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ