পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরাইলি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কাতার

অধিকৃত পশ্চিম তীর ইসরাইলের সংযুক্তকরণের পরিকল্পনায় ইসরাইলি সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে কাতার।

দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের এমন কাজ ওই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। খবর আনাদোলুর।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান ওই বিরোধিতার কথা সরাসরি ঘোষণা করে বলেছেন: পশ্চিম তীর দখলের ইসরাইলি যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দোহা রুখে দাঁড়াবে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি জাতিকে তাদের ভূখণ্ড রক্ষায় সহযোগিতা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেন মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান।

করোনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফিলিস্তিনি জাতিকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে দোহা।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি কর্মকর্তারা সম্মত হয়েছে পশ্চিম তীরের কিছু অংশকে অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোজন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ আসছে জুলাই মাসে শুরু করবে।

ফিলিস্তিনিদের চাওয়া পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন ও জর্ডান উপত্যকায় ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১ জুলাই মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সংযোজনের (দখল) জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। গত সোমবার তিনি দেশটির সেনাবাহিনীকে অনিষ্পন্ন পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করতে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য প্রস্তুতির আদেশ দেন।

পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যাকা ফিলিস্তিনি অঞ্চল। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল অবৈধভাবে দখল করে আছে।

সম্প্রতি দখলকৃত পশ্চিম তীরে কয়েক হাজার ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরাইল।

ইফরাত নামে এই বসতি সম্প্রসারণ প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার আবাসন ইউনিট তৈরি করা হবে। এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে ওয়াশিংটন।

জর্ডান উপত্যকার বড় একটি এলাকায় এই ইহুদি বসতি সম্প্রসারিত হলে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।