পশ্চিমাঞ্চল রেল: চেইন টেনে ট্রেন থামানোর প্রবণতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে চেইন টেনে এবং হোস পাইপ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেন থামানোর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পূর্বাঞ্চলের চেয়ে পশ্চিমাঞ্চলে চেইন টেনে ট্রেন থামানোর ঘটনা বেশি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মাঝপথে চোরাই পণ্য অবৈধভাবে উঠানো ও নামানোর জন্য চোরাকারবারিরা চেইন টেনে ট্রেন থামাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রাপথে পছন্দের স্থানে নামার স্বার্থেও অনেক যাত্রী এমনটি করে থাকেন বলে জানায় রেলের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

জানা গেছে, রেল কর্তৃপক্ষের হিসেবে গত অক্টোবরে এই উপায়ে রেলের পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। এতে করে এক ঘণ্টা ৫৮ মিনিট যাত্রা বিলম্ব হয়েছে ট্রেনের। নভেম্বরে এ রকম ঘটনা ঘটেছে ১০টি। এতে সময় অপচয় হয়েছে ৪৫ মিনিট। ডিসেম্বরে পাকশীতে ২০টি ও লালমনিরহাটে ২টি ট্রেন যাত্রাপথের মাঝে থামায় ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট সময় অপচয় হয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি পথে এভাবে ট্রেন থামানো অপরাধ। উপযুক্ত কারণ ছাড়া চেইন টেনে ট্রেন থামানোর বিদ্যমান শাস্তি ২শ টাকা জরিমানা। তবে এই শাস্তির পরিমাণ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেল সূত্র জানায়, যত্রতত্র ট্রেন থামানোর ঘটনা বন্ধে রেলওয়ে আইনে সংশোধনী আসছে। বর্তমানে ১৮৯০ সালের আইন অনুযায়ী চলছে রেলওয়ে। সংশোধনীতে বিনা প্রয়োজনে যাত্রাপথের মাঝে ট্রেন থামানোর জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। প্রস্তাবটি রেল মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে দেওয়া হয়েছে কিছুৃ পর্যবেক্ষণ।

চোরাকারবারিদের মাধ্যমে চেইন টেনে ট্রেন থামানোর ঘটনা পশ্চিমাঞ্চলের বর্ডার এলাকায় ঘটে। এর মধ্যে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল রুট, সান্তার, হিলি হয়ে সৈয়দুর স্টেশনের মাঝে শিকল টানার কাজটি বেশি। এ ছাড়া এমন লোক যারা আন-অথরাইজড স্থানে নিজের সুবিধা জনক স্থানে ট্রেন থামতে চান।

পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া ট্রেন থামানোর জন্য শিকল ও হোস পাইপ ব্যবহারের সুযোগ আছে। জরুরি প্রয়োজন হিসেবে রেলে এ ব্যবস্থা থাকে। চেইনে টান পড়লেই ট্রেনের ইঞ্জিনে বাতাসের চাপ কমে যায়। ফলে ট্রেন এগোতে পারে না। প্রতিটি বগিতেই চেইন টানার ব্যবস্থা আছে। একটি বগিতে চেইন টানলে পুরো ট্রেনেই চেইন পুলে এর প্রভাব পড়ে।

জি/আর