ছয় মাস আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধাক্কার পর এবার আম্পানের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার নিজের কার্যালয় নবান্ন থেকে বসে এমনটাই জানালেন ভারতের অঙ্গরাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা জানান, ঝড়ের পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১০-১২ জন মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এ দিন তা চরম আকার ধারণ করে। সারা দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আম্পান আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে কলকাতায় আম্পানের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ, ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। সোয়া আটটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, এখনও বিপদ কাটেনি বলে সতর্ক করেছেন মমতা।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বারাসত, বনগাঁ মহকুমা পুরো গিয়েছে, পুরো সুন্দরবন, গঙ্গাসাগর সব গিয়েছে।
হাওড়ার অবস্থা খারাপ। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি তবে রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া-সব সব, চারদিকে সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে মমতা বলেন, গোটা ধ্বংসের চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন লেগে যাবে। কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল, লাখও ছাড়াতে পারে। কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, ক্ষেত থেকে সব সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।