পর্দা কেলেঙ্কারি মামলায় শর্তসাপেক্ষে দুই আসামির জামিন

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দুদকের করা মামলায় শর্তসাপেক্ষে দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা উত্তোলন এবং বিলের টাকা দাবি করতে পারবেন না-এই শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নিয়মত বেঞ্চ খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই জামিন দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার দুইজনের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও মো. খালেদ সাইফুল্লাহ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুর মেডিক্যালে পর্দা সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন।

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ‘এক পর্দার দাম ৩৭ লাখ’ শিরোনামে গতবছর সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদক গতবছর ২৭ নভেম্বর মামলা করে। এ মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই দুইজন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে তারা কারাবন্দি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফমেক) ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ