‘পরীক্ষার ফি হোক শুধু কাগজের দাম’ একক অনশনে ইবি শিক্ষার্থী

একক অনশনে শিক্ষার্থী দস্তগীর হোসাইন সাগর। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার দাবি পরীক্ষার ফি কমানো ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে আবাসিক হল ফি গ্রহণ বন্ধ করা।

এ দাবিতে বুধবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে তিনি অনশন শুরু করেন। তিনি ‘পরীক্ষার ফি হোক শুধু কাগজের দাম’ ও ‘অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে হলের জন্য টাকা গ্রহণ বন্ধ করুন’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কয়েক ঘণ্টা পর ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা এসে তার অনশন ভাঙান।

অনশনকালে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যেহেতু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এবং সরকার এখানে অর্থ দেয় তাহলে আমরা এত পরীক্ষার ফি কেন দেব? কষ্ট করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লাভ কী? আমি কখনোই হলে থাকিনি, তবুও হলের জন্য ৩০০ টাকা দিতে হচ্ছে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করি। আমি জানি, ৩০০ টাকা রোজগার করতে সারাদিন কাজ করতে হয়। তাহলে আমি কোনো প্রকার আবাসিক সেবা না নিয়েই এই টাকা কেন দেব? আমি প্রশাসনের কাছে এই ফি মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।’

জানা যায়, দীর্ঘদিন করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করতে গিয়ে ফি নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ এক বছরের হলের সিট ভাড়া ও পরিবহন ফি মওকুফ করলেও প্রজ্ঞাপনে ভুলের কারণে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের সকল ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এদিকে, স্বল্পসময়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের বকেয়া মেস ভাড়া পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার ফি প্রদান করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন আগে থেকে মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। তার ওপর অনাবাসিক হয়েও সিটভাড়া ছাড়া হলের অন্যন্য ফি বাবদ ৩০০ টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের। এটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকেই এ ফি মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি এখনো জানি না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে দাবি জানাতে পারে, সেটি আমাদের কাছে এলে ভেবে দেখব।’

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন