রবিবার , ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও ফার্স্ট ক্লাস পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

Paris
অক্টোবর ২০, ২০২৪ ৯:৫৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর (বুধবার) প্রকাশিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার রেজাল্ট শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে বিষয়টি ‘ভুলবশত’ হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয় এবং ৬ জুন শেষ হয়। ১৬ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায় সাদিয়া আফরোজ মারিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নামের পাশে ফলাফল জিপিএ ৩.৫০। যিনি কিনা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ মারিয়া গর্ভধারণজনিত অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করেননি। অর্থাৎ তিনি দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডিই পেরোতেই পারেননি। ফলে, তিনি তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষাতেও অংশ নেননি।

এ বিষয়ে সাদিয়া আফরোজ মারিয়া বলেন, আমি পরীক্ষা দিইনি- এই তথ্যটি সঠিক। কিন্তু আমার ফলাফল এসেছে কি না আমি জানি না। বর্তমানে আমি দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত।

বিষয়টি স্বীকার করে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, হ্যাঁ, ফলাফলের অসঙ্গতিটা আমাদের নজরে এসেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আশা করি, আগামীকালের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে। পরীক্ষা কমিটিতে আমি সভাপতি বাদেও আরও তিন জন শিক্ষক সদস্য হিসেবে ছিলেন। তারাই মূলত টেবুলেশনের কাজটি করেছেন। আমি সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলাম।

পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, ভুল তো মানুষেরই হয়। ভুল হওয়াটা কি অস্বাভাবিক? বাটন চাপতে গিয়ে এই ভুলটা হয়েছে। তবে আমাদের খাতায় এমনটি নেই। ডিপার্টমেন্ট থেকে রেজাল্ট শিট পাঠানোর পরে এমনটি হয়েছে। মেয়েটি পরীক্ষা দেয়নি। ফলে তার ওই কলামটা ফাঁকা ছিল। কিন্তু অন্যজনের নম্বরটা ভুলবশত ওই কলামে যুক্ত হয়ে গিয়েছে।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর