পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরো আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামে যত সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেই পরিমাণ সেবাকেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। প্রায় ১ কোটি জনঅধ্যুষিত এই নগরীতে ইতোমধ্যে ৪ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উপলব্ধি থেকে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র নগরেতে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করেছেন। সেটার সুফল অবশ্যই নগরবাসী পাবেন।

শনিবার বিকেলে নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ সিটি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের উদ্যোগে নির্মিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। তাই হতাশার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশতো বটেই, উন্নত দেশগুলো এতো চেষ্টা করেও এই পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছে না। আজ দূর্বল ও সবল একাকার হয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষা এবং অপরেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তাহলেই আমাদের ভয় কেটে যাবে এবং আমরা আবার সামাজিক সক্ষমতায় ফিরে যেতে পারবো।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাবিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি এখনও বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিস্কৃত ও বাজারজাত হবে না করোনা পরিস্থিতির স্থায়ী নিরসন সম্ভব নয়। তারপরও সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা বিস্তার প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ২৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট খাতওয়ারী বরাদ্দের ৭.৪ শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হয় যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন এবং স্বাস্থ্যখাতকে আরো বেশি সেবামূলক ও কার্যক্ষম করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং করোনাকালে তাঁর মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আজকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও জনবল নিয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথমত এই সেন্টারে মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর হবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালসহ যেখানে আইসিইউ, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, ১৫ আনসার ব্যাটেলিয়ানের ডাইরেক্টর এএসএম আজিজ উদ্দীন, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক।