পরিবারের দাবি মাদকবিরোধি, পুলিশ বলছে মাদক মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে গণপিটুনি দিয়ে মাদকব্যবসায়ী বলে স্থানীয়রা আবদুর রাজ্জাক (৩০) নামে এক যুবককে পুলিশে সোর্পদ করে।পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় পুলিশ বলছে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা ছিল। কিন্তু পরিবারের দাবি, মাদকের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না।

নিহত আবদুর রাজ্জাক (৩০) রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনি হাজরাপুকুর মহল্লার মো. ইসলামের ছেলে। তিনি ভাংড়ির ব্যবসা করতেন।

পুলিশ বলছে, আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার নামে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবজিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। চন্দ্রিমা থানার এসএই আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ৬ আগস্ট রাতে স্থানীয় লোকজন রাজ্জাককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্জাকের পকেট থেকে ৪৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আর দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে নিহত আবদুর রাজ্জাকের ছোট ভাই শাহিন অভিযোগ করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গত ৬ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে চা খাওয়ার জন্য ডাকা হয় তার ভাইকে। আবদুর রাজ্জাককে ডাকে একই এলাকার মানিক, খায়রুল, সুমন, জ্যাকি, মোহন, রাসেল ও মাসুম। পরে তারা কলোনির হাজরা পুকুর এলাকায় জিয়াই পাইপ, রড দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়।পরে টহল পুলিশ আবদুর রাজ্জাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে। আবদুর রাজ্জাক মৃত্যুর আগে আটজনের নাম বলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তাঁর ভাই মাদক ব্যবসা করতেন না। বরং তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করতেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশের সোর্স হওয়ার কারণে তার ভাইয়ের ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের রাগ ছিল। আর এ কারণেই রাজ্জাকের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে ইয়াবা বড়ি দিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হয়।

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় রাজ্জাককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৪৮ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। সে মামলায় রাজ্জাককে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর থেকে পুলিশ হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন যারা মারপিট করেছিলেন তাদের নাম মৃত্যুর আগে রাজ্জাক বলে গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

স/অ