পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে পর্যটক পরিবহন বন্ধ

টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের জন্য পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া ঘাটে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য ট্রলারের সন্ধান করছেন পর্যটকেরা।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিনদ্বীপে পর্যটক পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পর্যটক আটকে পড়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া ঘাটে টিকিট কাউন্টারের সামনে পর্যটকদের ভীড় দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শতাধিক পর্যটক কাঠের ট্রলারে করে ভীড় জমান। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোনো পর্যটককে টিকিট দেওয়া হয়নি। ফলে পর্যটকেরা সেন্টমার্টিনদ্বীপে যেতে পারেননি।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া ঘাট থেকে ট্রলার ও স্পীডবোটে করে তিনশ’ পর্যটক রাত্রিযাপনের জন্য সেন্টমার্টিনদ্বীপে যান। এরপর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে রবিবার ও সোমবার দু’দিন নৌ-রুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আটকা পড়েছিলেন। পরে মঙ্গলবার তারা গন্তব্যে চলে গেছেন।

সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশান কমান্ডার তারেক আহমেদ ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে দু’টি নৌ-রুটে পর্যটক পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ১০টি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটক পরিবহনের জন্য কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নতুন করে অনুমতি দেওয়া হলে আবারও জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে পর্যটক পরিবহন করতে কোনো ধরনের বাধা থাকবে না।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া ঘাটে ইজারাদারের টোল আদায়কারী ও টেকনাফ-
সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির টিকিট বিক্রেতা মো. জোবায়ের বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোনো টিকিট বিক্রি করা হয়নি। ফলে কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনদ্বীপে যেতে পারেননি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পর্যটক পরিববহন বন্ধ থাকবে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন