পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অত্যাধুনিক নকশায় ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই দোতলা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা।

করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথ।

ব্যক্তিস্বার্থে কেউ দেশের এত বড় ক্ষতি করতে পারে?-প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর:

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যক্তিস্বার্থে কেউ দেশের এত বড় ক্ষতি করতে পারে তা আমার জানা ছিল না। ব্যাংকের এমডি পদের লোভে একজন ব্যক্তি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন আটকে দেন। তার সঙ্গে আরও কিছু ব্যক্তি সহায়তা করেছেন।

বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের একটা এমডি পদ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে ওই ব্যক্তির কাছে। পদটা চলে যাওয়ায় তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম যে, দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বন্যা দুর্গত মানুষদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ সঙ্গী করেই আমরা চলি। প্রায় প্রতিবারই বন্যা আমাদের অনেক ক্ষতি করে। সে কারণে আমাদের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্গতদের খাদ্য, ওষুধ, রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করছেন। বিভিন্ন বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিই।

এর আগে মঙ্গলবার নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি সিলেট সার্কিট হাউজে বক্তব্য দেন এবং বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।