পদ্মাপাড়েই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় আছে মানিকগঞ্জের পদ্মাপাড় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। চলতি অর্থবছরেই এই স্টেডিয়ামের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম তৈরি করতে অনেক ধরনের সমীক্ষা চালাতে হয়, সেটি করা হবে। এজন্য হয়তো ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে রয়েছে- সেজন্য চলতি অর্থবছরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করার চেষ্টা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করা হলে বলে জানান।

স্টেডিয়ামের  জায়গা নির্ধারণে পর্যবেক্ষণে যাওয়া যুব ও ক্রীড়া  মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ইতোমধ্যে সংসদীয় কমিটির একাধিক সভায় গুরুত্বসহকারে পাটুরিয়ার পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়নে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল এই স্থানে স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। পদ্মাপাড়ের এ স্থানটি দেখে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের পছন্দ হয়েছে। পদ্মাপাড়ের সুন্দর প্রাকৃতিক নৈসর্গ ও মনোরম পরিবেশ। যেটি এই পদ্মাপাড়ে আছে। এ স্থানটিতে স্টেডিয়াম নির্মাণের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্থান পরিদর্শনে যান মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাসুম। এছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ক্রিকেটে পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন,পদ্মাপাড়ে আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। সেই ঘোষণার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের কাছে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়।

এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট চায়না টেস্ট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা সাও ঝোন ঝংয়ের নেতৃত্বে পাটুরিয়া ঘাট ফিজিবিলিটি টিম পরিদর্শন করে। এরপর ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিমের নেতৃত্বে আরও একটি টিম পদ্মাপাড়ের এ স্থানটি পরিদর্শন করেন।

সূত্র: যুগান্তর