পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, নৌকাডুবিতে সিপিপির দলনেতা নিখোঁজ

ঘূর্ণিঝড়ি আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীর নদ-নদী গুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের অরক্ষিত বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। অতিরিক্ত পানি ওঠায় রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের একাধিক ফসলি জমি।

বুধবার সকাল থেকে জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে ও দমকা বাতাস বইছে। মঙ্গলবার উপকূলের অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে না যেতে চাইলেও আজ আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন।

এদিকে কলাপাড়ায় নৌকা ডুবিতে সিপিপির দলনেতা শাহআলম নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭শ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় আম্পানের গতি কমে এলেও ভয় দেখাচ্ছে জলোচ্ছ্বাস। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

বিকেলে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি. থেকে ২০০ কি. মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম্পানের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।