শাহিনুল ইসলাম আশিক:
‘ঢাকা ৫০০, ঢাকা ২০০। ঢাকা বাসের সিট ৫০০। আর ছাদ ২০০। আসেন আসেন চলে গেলে আর পাবে না। অন্য বাসের টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে। বসে থেকে লাব (লাভ) নাই।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বাস স্টান্ডে এ ভাবেই একটি লোকাল বাসের একজন হেলপার যাত্রীদের ডাক ছিলেন।
যাত্রীরা বলছে, বাস স্টান্ডে গুলোতে টিকিট নেই। যা ছিলো সব বিক্রি হয়ে গেছে। শুধুু তাইই নয়, দুই থেকে তিন দিন আগের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ফলে লোকাল বাস ছাড়া আর বিকল্প নেই।
বাস যাত্রী রাসেল ইসলাম বলেন, ঈদের দুইদিন আগে এসেছিলাম গ্রামের বাড়ি নগরীর নওদাপাড়ায়। ঈদ শেষ এখন কর্মস্থলে যোগদানের পালা। সকালে কাউন্টারে এসে দেখি টিকিট নাই। তারা বলছে সব টিকিট নাকি বিক্রি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, লোকাল বাসগুলোতে সিটে ৫০০-৫৫০ টাকা চায়। আর ছাদে ২০০ টাকা করে। বেশি টাকা দিতে চাইলেও তারা টিকেট দিতে পারছেনা। ঈদের আগে দিন রাজশাহীতে এসেছিলাম ৫’শ টাকায়। এখন যেতে হচ্ছে সাড়ে ৫’শ টাকা থেকে ৬’শ টাকায়। তার পরেও আবার টিকিট নাই।’
‘অন্য সময় রাজশাহী থেকে ঢাকা যেতে একটু ভালো বাসে ৫’শ সাড়ে ৪’শ টাকা লাগে। আর ভিআইপি বাসগুলোতে সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা করে নেয়।’
এদিকে, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, ন্যাশনাল পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস্, একতা পরিবহনের রাজশাহীর বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট শেষ। টিকিট প্রত্যাশীরা এসে খালি হতে ঘুরে যাচ্ছে। কাউন্টারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। আর লোকাল পরিবহন গুলোতে বিভিন্ন ভাড়ায় ডেকে গাড়িতে তুলছে যাত্রীদের। লোকালে যাত্রীদের নিচ্ছে ছাদ ২০০ আর সিট সাড়ে ৫’শ টাকা।
বাসের ছাদে ওঠা নাসরিন আক্তার নামের এক নারী যাত্রী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘ঈদের আগের দিন ট্রেনের ছাঁদে এসেছি। এবার বাসের ছাদে যেতে হচ্ছে। ছুটির পরেও বাড়তি ছুটি নিয়ে ছিলাম।
সেটাও শেষ। এখন যেতেই হবে। কাজে যোগ না দিলে বেতন কাঁটা যাবে।
স/আ