‘নিহত’ স্কুলছাত্রী জীবিত ফেরত, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল পেছালো

নারায়ণগঞ্জে ‘নিহত’ বলে প্রচারিত স্কুলছাত্রী জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো একমাস সময় পেলেন নারায়নগঞ্জের মূখ্য মহানগর হাকিম। প্রতিবেদন দাখিলে তার করা আবেদনে সময় মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে হাইকোর্ট গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ওই ঘটনা তদন্ত করে ৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নারায়নগঞ্জের মূখ্য মহানগর হাকিমকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারায় নারায়নগঞ্জের মূখ্য মহানগর হাকিম আরো একমাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। গতকাল এ আবেদনের বিষয়ে আদালত বলেন, একমাস সময় চেয়েছেন। আমার তা মঞ্জুর করছি। আর পরবর্তী আদেশের জন্য ৫ জানুয়ারি রাখছি।

গত ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর পিতা গত ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। ওই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিতে তারা বলে যে, ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২৩ আগস্ট ওই ছাত্রীকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী বলছে, সে ইকবাল নামক একজনকে বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার করছে। এ নিয়ে ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে গত ২৪ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২৫ আগস্ট ৫ আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন, মো.জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ