সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সংসদ সদস্য পদ চলে যাওয়ার এবং নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় না করায় এ চালানের ১৫টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য কাস্টমসের কাছে বাই-পেপার হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৮৮ কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি আনা হয়েছিল।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর এ গাড়িগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল বন্দরের কার শেডে। আইন অনুযায়ী ৩০ দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরের মধ্যে আমদানিকারক এসব গাড়ি ছাড় করেনি।
মূলত দ্বাদশ সংসদের সদস্যরাই শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব গাড়ি আমদানি করেছিলেন। কিন্তু ছাড় করার আগেই ছাত্র আন্দোলনে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এমপিরা এ শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হন। ৮৫০ শতাংশ শুল্কহার হিসাবে প্রতিটি গাড়ির বাজার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলেও সংসদ সদস্যরা মাত্র এক কোটি ৩০ লাখ টাকায় মূল্যবান এসব গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ পেতেন।
এরই মধ্যে ১৫টি ল্যান্ড ক্রুজারসহ শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের আনা অন্তত ২৪টি গাড়ির নিলাম সংক্রান্ত কাগজ রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখায়। সবশেষ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্দর থেকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় এসেছে ১৮টি গাড়ির নথিপত্র।
আর জটিলতা এড়াতে ৬টি গাড়ির নিলামে তোলার আগে বিধি অনুযায়ী মতামত চাওয়া হয়েছে আমদানিকারকের। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ব্যারিস্টার সুমনসহ ৭ জন তৎকালীন সংসদ সদস্য জুলাই মাসেই গাড়ি ছাড় করে নেয়ায় নিলাম থেকে বেঁচে গেছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ৬ গাড়ির আমদানিকারকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা চিঠির জবাব না দিলে এ গাড়িগুলোও নিলামের প্রক্রিয়ায় যাবে।সূত্র: যুগান্তর