নির্বাচনে না এসে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে-তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি জোট করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেটি না করে বিশৃঙ্খলা করলে অতিতিতের মতো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরা খেলে জিততে চাই। রাজশাহীতে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একমাত্র পাকিস্তানে তত্বাবধায়ক সকারের অধিনে ভোট হয়। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে, তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। কিন্তু দেশে সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহুমদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা সবকটি আসনে ইভিএমে ভোট চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলার খরচের চাহিদা দিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতো টাকা খরচ করা ঠিক হবে না। তাই যে কয়টি আসনে ইভিএমে ভোট করা যায়, আমরা সে কয়টি আসনেই ইভিএমে ভোট করতে চাই।’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়াশী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আগামীকালের জনসভা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ বছরে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ জনসভা থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। জনসভায় বিপুল সংখ্যক নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিবেন। সবিমিলিয়ে ৫-৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে এ জনসভায়।’

মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠটিতে বেশি লোকের জায়গা হবে না। সে জন্য আমরা এ মাঠের সঙ্গে ঈদগাহ মাঠটিকে সংযুক্ত করেছি। আশেপাশের সিএন্ডবি মোড়, ফায়ারা বিগ্রেড মোড় থেকে চারিদিকে অন্তত ২০০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি প্রযেক্টরের মাধ্যমে জনসভায় আগত মানুষ মাঠে ঢুকতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে ও দেখতে পারবেন। এছাড়াও দেড় লাখ বোতাল পানি, টয়লেটসহ আনুসঙ্গিক সব ব্যবস্থায় আমরা রেখেছি। ফলে স্মরণকালের সবচেয়ে বিশাল জনসভা হবে এটি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এমপি সাইফুজ্জামান শেখর, আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।

স/আর