নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্বে বাংলাদেশ

নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্বে বাংলাদেশ..

ঢাকা: বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণের লক্ষ্যে সাধারণ ও পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জেনেভার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলো বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) জেনেভার জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জেনেভার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান নিরস্ত্রীকরণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বহুপাক্ষিক আলোচনাকে পুনর্জীবিত করতে সদস্য দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। চলতি বছরে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলায় ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই হামলায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ ঘটনাটি বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ কাঠামোকে সমর্থন ও শক্তিশালী করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে।

ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত আহসান বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আজ বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যখন বিরাজ করছে নাজুক পরিস্থিতি, সেসময়েও কিছু দেশ সামরিক ব্যয় হ্রাসের কোনও আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। বৈশ্বিক এ জরুরি অবস্থায় যাতে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সামরিক ব্যয় হ্রাস করে উদ্বৃত্ত অর্থ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর তিনি জোর দেন।

মহামারির প্রেক্ষাপটে হলেও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক এ সম্মেলন সদস্য দেশসমূহের সরাসরি ও ভার্চ্যুয়াল অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের কার্যক্রমে যেসব বিষয় অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে সেগুলোর পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সবার সমন্বিত প্রয়াসের ওপর জোর দেন।

চলতি বছরে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি উল্লেখ করে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ দপ্তরের মহাপরিচালক ও সম্মেলনের মহাসচিব তাতিয়ানা ভালোভায়া নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য নতুন বৈশ্বিক আইনি চুক্তির জন্য আপস-আলোচনা শুরু করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

৬৫ সদস্য বিশিষ্ট এ সম্মেলনটির প্রত্যেক সদস্যই প্রতি প্রায় এগার বছরে একবার সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সব আন্তর্জাতিক আপস-আলোচনার মধ্যে এ সম্মেলনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি একমাত্র ফোরাম যেখানে নয়টি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রেরই অংশগ্রহণ রয়েছে।- বাংলানিউজ