নিজের পায়েই কুড়াল মারলেন হাফিজ!

ইংল্যান্ড সফরের আগে বড় ধাক্কা পাকিস্তান শিবিরে। পরীক্ষায় স্কোয়াডের ১০ ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে আছে সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের নামও।

কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পরীক্ষায় আস্থা রাখতে পারেননি হাফিজ। পরে আবার নিজ উদ্যোগে পুরো পরিবারসহ টেস্ট করিয়েছেন। সে টেস্টে এসেছে বিপরীত ফল। অর্থাৎ পিসিবির পরীক্ষায় পজিটিভ হাফিজ পরের দিনই ব্যক্তিগত পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ প্রমাণ হন।

এতটুকু পর্যন্তও হয়তো ঠিক ছিল। কিন্তু হাফিজ আবার বাড়তি ঝামেলা তৈরি করেছেন। নেগেটিভ হওয়ার পর সেই রিপোর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আপলোড করেছেন। পুরো বিষয়টি পিসিবির জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক কিছু হয়নি।

হাফিজের কাণ্ডে স্বভাবতই খেপেছে পিসিবি। নিজ থেকে টেস্ট করিয়ে প্রকারান্তারে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বোর্ডকেই বিপদে ফেলে দিয়েছেন, মনে করছেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান।

পিসিবি কর্তার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, এমন কাজের পর বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন হাফিজ। এমনিতেই বয়সটা ৩৯ পেরিয়েছে। এমন সময়ে দলে সুযোগ পেয়েও কেন বোর্ডের বিরাগভাজন হতে গেলেন? পাকিস্তানি অলরাউন্ডার নিজ হাতেই ক্যারিয়ারটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিলেন বলা যায়।

‘ক্রিকেট বাজ’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘আমি আজ হাফিজের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরো বিষয়টি সে যেভাবে হ্যান্ডল করেছে, জানিয়েছি আমাদের হতাশার কথা। ব্যক্তিগতভাবে তার টেস্ট করার অধিকার আছে। কিন্তু আগে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত ছিল। সে আমাদের একটা ঝামেলাতে ফেলে দিয়েছে। মিডিয়ায় বোর্ডের নিয়ম ভাঙা তার এবারই প্রথম নয়।’

ওয়াসিম খান যোগ করেন, ‘যদিও সে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। কিন্তু যেহেতু পাকিস্তান দলে নির্বাচিত হয়েছে, অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য খেলোয়াড়দের যে বিধিনিষেধ আছে, সেগুলো তাকেও মানতে হবে। আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কারণ এটা বড় একটা সমস্যা তৈরি করে ফেলেছে।’

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ