‘নিজেই প্রাইভেটকার চালিয়ে এক নারীকে নিয়ে রিসোর্টে আসেন মামুনুল’

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে আট হাজার টাকার বিশেষ প্যাকেজে ঝর্ণাকে নিয়ে উঠেন মামুনুল হক। তিনি নিজেই সাদা কালারের প্রাইভেটকার চালিয়ে রিসোর্টে একজন নারীকে নিয়ে আসেন।

ধর্ষণ মামলার সাক্ষীতে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আ. আজিজ পলাশ সাক্ষ্য প্রদানের সময় এ কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন রিসোর্টের ম্যানেজারসহ ৩ জন।

সাক্ষীতে রিসোর্টের ম্যানেজার নাজমুল হাসান অনি, সুপারভাইজার আ. আজিজ পলাশ ও নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্য রতন বড়াল সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আদালত সূত্র আরও জানায়, রিসোর্টের সুপার ফাইজার আ. আজিজ পলাশের সাক্ষীতে উল্লেখ করা হয়- মামুনুল হক নিজেই সাদা কালারের প্রাইভেটকার চালিয়ে রিসোর্টে একজন মহিলা নিয়ে আসেন। এরপর একদিনের জন্য রিসোর্টের আট হাজার টাকার বিশেষ প্যাকেজ গ্রহণ করে বিকাশে টাকা প্রদান করেন। এরপর তাকে নিয়ে নানা ঝামেলার পর পুলিশ গিয়ে তাদের অবস্থান নেওয়া রুম থেকে সাদা চাদর, মাথার চুলসহ ১৭টি আলামত জব্দ করেন।

রিসোর্টের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য রতন বড়ালের সাক্ষীতে উল্লেখ করা হয়- সেদিন আনসার সদস্য রতন ও ইসমাইল এবং ৩ জন সিকিউরিটি গার্ডসহ গেটে ৫ জন দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকাল ৩টার দিকে একটি গাড়ি চালিয়ে মামুনুল হক রিসোর্টে আসেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ভেতরে যাবেন বললে গেট খুলে দেওয়া হয়।

শুনানিতে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুজ্জামান রাকিব। তাকে সহযোগিতায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসীন, হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ কয়েকজন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আনিসুর রহমান মোল্লাসহ কয়েকজন।

এর আগের ধার্য দিনে মামলার বাদী প্রথম সাক্ষী দিয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন ৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষী গ্রহণের দিন পর জানানো হবে। বিকাল ২টায় সাক্ষ্য শেষে মামুনুল হককে ফের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিবুজ্জামান রকিব জানান, কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় এ নিয়ে ৪ জনের সাক্ষী হয়েছে। সাক্ষীকে উভয়পক্ষ জেরা করেছেন।

উল্লেখ্য, মামুনুল হক গত ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

সূত্র:যুগান্তর