নায়ক মিঠুনের মৃত্যুবার্ষিকী, ভালোবাসায় স্মরণ করলেন অঞ্জনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

আশির দশকের নায়ক মিঠুন। এ চলচ্চিত্র অভিনেতার পারিবারিক নাম আবুল কাশেম মিঠুন। ২০১৫ সালের ২৪ মে কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। নায়ক মিঠুনের জানেনা এ প্রজন্ম। নেই কোথাও তাকে নিয়ে কোনো স্মৃতিচারণ বা আয়োজন।

তবে আশির দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে স্মরণ করতে ভুলেননি অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। তিনি বেশ কয়টি ছবি পোস্ট করে মিঠুনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন দীর্ঘ স্মৃতিকথা। অঞ্জনা লেখেন, ‘একজন মিঠুন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের অসম্ভব গুণী একজন শক্তিমান অভিনেতা। যিনি ছিলেন আমাদের অহংকার।
আপনার প্রয়ান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।’

অঞ্জনা আরও বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্র আপনার কাছে অনেক ঋণি। অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্রে আপনি অভিনয় করেছেন। আমার অনেক সুপার বাম্পারহিট চলচ্চিত্রের কাহিনি ও চিত্রনাট্য আপনি লিখেছেন। বিশেষ করে ‘মাসুম’, মধুমিতা মুভিজ প্রযোজিত ও পরিবেশিত ছবিটি এতোটা ব্যাবসা সফল হয় যা কল্পনার বাইরে।

এর এক বছর পর মধুমিতা মুভিজ প্রযোজিত ও পরিবেশিত মিঠুন ভাইয়ের কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপে নির্মিত হয় কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম ভাই পরিচালিত ব্লকবাস্টার বাম্পার হিট ছবি ‘ঈদ মোবারক’। সেখানে আমি, জাফর ইকবাল ভাই ও মিঠুন ভাই অভিনয় করেছি।

হৃদয় ছোঁয়া অসাধারন গান, অনবদ্য অপূর্ব কাহিণি শৈলীতে নির্মিত ‘ঈদ মোবারক’ ছবিটা আকাশচুম্বী ব্যবসা করেছিল। এরকম অসংখ্য স্মৃতি আছে মিঠুন ভাইয়ের সাথে যা বলে বা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। বাংলা চলচ্চিত্রে আপনার অবদান চির অমর হয়ে থাকবে অনন্তকাল ধরে। বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি হে গুণী।’

প্রসঙ্গত, আশির দশকে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মিঠুনের। তিনি অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রেও তাঁকে দেখা গেছে। মিঠুন অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ভেজা চোখ, আয়না বিবির পালা, বেদের মেয়ে জোছনা, বাবা কেন চাকর।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন মিঠুন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন এই অভিনেতা। মিঠুনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দরগাপুরে। সেখানেই তার দাফন হয়েছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ