নায়ক জাভেদকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার বিপর্যয় থেকে দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষায় দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সিনেমার কিংবদন্তী নায়ক ও নৃত্যপরিচালক ইলিয়াস জাভেদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

চিকিৎসায় খরচ চালাতে গিয়ে সংকটে পড়া এই নৃত্য পরিচালককে নগদ ১০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিনযাপন করছেন জাভেদ।

কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়ে যান বলে জানান তার সহধর্মিনী ডলি জাভেদ। জাভেদের পরিবার যখন আর্থিক সংকটে তখন দেশ করোনা মহামারীর প্রকোপে।

বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গেল ১৯ মে জাভেদকে নগদ ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জাভেদ বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সত্যিকারের একজন মমতাময়ী মা। এতদিন শুনে এসেছি তিনি সবার পাশেই মায়ের মমতা নিয়ে দাঁড়ান। আমার পরিবার সেই সত্যটা নিজ চোখে দেখল। তিনি যদি আর্থিক সহযোগিতা না করতেন তাহলে হয়তো আমি শেষ হয়ে যেতাম। আমি যতোদিন বাঁচব ততদিনই তার জন্য মন থেকে দোয়া করব। দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের মমতাময়ী এই মাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেন আরো সম্মানিত হন।

জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে যখন চারিদিকে অন্ধকার দেখছিলাম, ঠিক তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা পেয়ে আমরা যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। দোয়া করি আল্লাহ যেন মমতাময়ী এই মাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আমরা আজীবন তার কাছে কৃতজ্ঞ।

চিত্রনায়ক জাভেদ ১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। নিজে নাচতেন ও নায়িকাদের নাচিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে তুলতেন। শাবানা, ববিতা, অঞ্জু ঘোষ, রোজিনা, সুজাতা, সুচরিতা ছিলেন পর্দায় তার নায়িকা।

জাভেদের প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ছিল উর্দু ‘নয়ী জিন্দেগি’। কিন্তু এটি মুক্তি পায়নি। উর্দু চলচ্চিত্র ‘পায়েল’-এ (১৯৬৬) অভিনয়ের পর থেকেই তার নাম ধাম ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাবানা।