নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে দেশে স্মৃতিস্তম্ভ করার দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রী ও সাংবাদিকরা। সেই সঙ্গে গণভবনসহ রাষ্ট্রীয় যেকোনো অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মায়েদের অতিথি করারও আহ্বান জানান।

রোববার রাজধানীর কাঁটাবনে কবিতা ক্যাফে মিলনায়তনে দশ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তারা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই (উই আর দ্য আর্থ-ডাব্লিউই) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা মিনু, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী এবং কবি ও শিক্ষক ঝরনা রহমান।

উই-এর প্রধান নির্বাহী শরীফা বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারী নেত্রীরা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের কাছে আমরা ঋণী। তবে দুঃখের কথা, আজও তাদের অনেকেই সমাজে অবহেলা আর বঞ্চনা নিয়ে পড়ে আছেন। কেউ কেউ ঘরহারা, বাড়িহারা অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের দায়িত্ব। সাংবাদিক নাসিমুন আরা মিনু বলেন, একাত্তরে যে ভয়াবহ নারী নির্যাতনের সব ইতিহাস আমরা আজও জানি না। তবে আজও নারী নির্যাতন থামেনি। একাত্তরের মতোই আজও নারী নিপীড়ন, হয়রানি, নির্যাতন বন্ধে নারীদেরই সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।

শেষে নির্যাতিতা মুক্তিযোদ্ধা রিজিয়া বেগম, রাজিয়া বেগম, লুৎফা বেগম, নূরজাহান বেগম, রঙ মালা, সাবিহা বেগম, স্বর্ণলতা ফলিয়া, আনোয়ারা বেগম, নাজমা বেগম ও রেজিয়া বেগমের হাতে ঈদের নতুন কাপড় ও নগদ অর্থ তুলে দেন অতিথিরা। এসময় মুক্তিযোদ্ধা মায়েরা বলেন, নারীদের সম্মান রক্ষায় ও দেশের প্রয়োজনের এখনও আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে গাওয়া হয়, দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়…। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বলাকা প্রকাশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান আয়োজন করে উই। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন উই-এর নির্বাহী প্রধান শরীফা বুলবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি ও গল্পকার মোর্শেদা নাসির।

 

স/আ