নারী আন্দোলনকারীদের জেলে পুরেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন নারী অধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এদের আটক করার পেছনে কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানা যাচ্ছে না।

তবে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছে যে সৌদি নারীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ‘বিদেশি শক্তি’র সাথে সম্পর্ক থাকার কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

মোট আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা সাত। এদের মধ্যে দু’জন পুরুষ।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন লাউজাইন আল-হাতলুল এবং এমান আল-নাফজান।

এরা দুজনেই সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছিলেন।

আগামী ২৪শে জুন মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা রয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিজ নাফজান এবং মিজ নুর ২০১৬ সালে সরকারের কাছে এক পিটিশনে সই করেছিলেন যেখানে সৌদি নারীদের ওপর পুরুষদের অভিভাবকের কর্তৃত্ব বিলোপ করার ডাক দেয়া হয়।

২০১৬ সালে ক্যানাডায় এক অনুষ্ঠানে লাওজাইন আল-হাথলুল (সর্বডানে।) ছবিতে সাসেক্সের নতুন ডাচেস মেগান মার্কলকেও দেখা যাচ্ছে (সর্ব বাঁয়ে)।

এই কর্তৃত্বের কারণে সৌদি নারীরা নিজের ইচ্ছেমত বিয়ে করতে পারেন না, একা একা বিদেশে যেতে পারেন না, এবং পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না।

মিজ হাথলুলকেও এপর্যন্ত দু’বার গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের একটি ঘটনায় তিনি গাড়ি চালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে চেয়েছিলেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, গত ১৫ই মে তাদের সবাইকে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের গ্রেফতারের পেছনে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দেখায়নি।

সৌদি সরকার গত সেপ্টেম্বর মাসেই নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেয়ার ঘোষণা করেছিল।

কিন্তু সেই সংস্কার কার্যকর হবে জুন মাস থেকে।