বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নেশা দ্রব্য খাইয়ে তিন বন্ধু মিলে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগাতিপাড়া থানায় বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে চার জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে আটকের পর আজ শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার বিবরন সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্রী। এরপর থেকেই একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার দাঙ্গাপাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে তুষার আলী ওই ছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিতো। তাতে সাড়া না দেওয়ায় গত ১২ জুলাই ছাত্রীকে তার বান্ধবী মেঘলা খাতুনের সহযোগীতায় নেশা দ্রব্য খাইয়ে কলেজের গেট থেকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তুষার এবং তার অপর দুই বন্ধু ইমন ও তুষার ইমরান মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। তুষারের ওই দুই বন্ধুও একই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ইমন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শ্রীবতীপাড়া গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ছেলে এবং তুষার ইমরান নাটোরের নলডাঙ্গা থানার পুর্বমাধনগর গ্রামের সালামের ছেলে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ধর্ষনের সময় ওই দৃশ্য বান্ধবী মেঘলা খাতুন মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। এরপর ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ওই তিন বন্ধু ছাত্রীকে ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীর শারিবীক অবস্থা খারাপ হলে দয়ারামপুর সিএমএস হাসপাতালে ২০ জুলাই তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৪ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসা নেয় সে। অভিযুক্তদের এ সব পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৬ আগষ্ট হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ওইদিন তাকে বগুড়া সিএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত চিকিৎসা নেয় ওই ছাত্রী। পরে বৃহস্পতিবার বাগাতিপাড়া থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ওই ছাত্রীর মা মামলা করেন।
এদিকে অভিযুক্তদের প্রধান আসামী তুষার আলীকে ওইদিন দয়ারামপুরের একটি ছাত্রাবাস থেকে বিদেশী পিস্তুল, একটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলিসহ র্যাব-৫ এর একটি দল আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তুষার আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও অপর একটি মামলা হয়েছে। এদিকে একই দিনে ছাত্রীর বান্ধবী সহযোগী মেঘলা খাতুনকে একই এলাকার অপর এক ছাত্রীনিবাস থেকে আটক করে। পরদিন আজ শুক্রবার দুজনকেই জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামীসহ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এরসাথে জড়িত অন্যান্যদেরও আটকের চেষ্টা অব্যহত আছে।
স/অ
