নাটোরে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৪

নাটোর শহরসংলগ্ন তেবাড়িয়া হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে রাতেই আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তেবাড়িয়া হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাটোর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য বাবলু প্রামাণিকের ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বাবুল প্রামাণিকের ছেলেদের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রাতে অভিযান চালিয়ে তেবাড়িয়া এলাকা থেকে নাজমুলের সমর্থক সোহেল হোসেন, নোহান হোসেন, নয়ন হোসেন ও হুগোলবাড়িয়া এলাকার রতন হোসেনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তেবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

আহত ছয়জন হলেন সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু প্রামাণিক (৬৫), তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম (৫০), পুত্রবধূ পুরনি বেগম (২২), কেয়া বেগম (২১), ছেলে সুজন প্রামাণিক (২৮) ও বাসার গৃহকর্মী আনোয়ার হোসেন (৫০)। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, গতকাল ছিল তেবাড়িয়ার হাটবার। সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল প্রামাণিকের ছেলে সুজন ছাগলহাটায় খাজনা আদায় করছিলেন। হঠাৎ নাজমুল হোসেন সেখানে গিয়ে তাঁকে মারপিট করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বাবুল প্রামাণিকের ছেলে যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাজমুল সমর্থকেরা আমাকে মারার জন্য বাড়িতে হামলা চালায়। আমাকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যদের মারপিট করেছে। তারা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছ, মাল তছনছ ও লুটপাট করেছে।’ তবে নাজমুল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘শফিকুলই আমাকে প্রথমে মারে এবং গলা থেকে চেইন ছিঁড়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার লোকজন তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। তাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে উভয় পক্ষ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শোনা গেছে।

প্রথম আলো