বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি
নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় ভাঙ্গা সড়কে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মওসুমে ভাঙ্গায় পানি জমে জলাবদ্ধতায় এ দুর্ভোগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক বছর ধরে সড়কটি মেরামতের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ভাঙ্গা সড়কে জাল ফেলে প্রতিবাদ করেন।
রোববার দুপুরে তমালতলা বাজার এলাকায় ব্যতিক্রমী এ প্রতিকী প্রতিবাদ করা হয়। দ্রুত সড়কটি মেরামত করে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ নিরসনের দাবি তাদের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কসবে মালঞ্চি থেকে তমালতলা বাজার হয়ে হাজিপাড়া পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার অংশে এমনই বেহাল অবস্থা। দুই বছর পূর্বে মালঞ্চি বাজার হতে কসবে মালঞ্চি পর্যন্ত সড়ক প্রশ্বস্তকরণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোন সংস্কার না হওয়ায় তমালতলা বাজার হয়ে হাজিপাড়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও পিচ উঠে গিয়ে ইট-সুরকি পর্যন্ত নেই। বিশেষ ভাবে তমালতলা মোড় বাজারের উত্তর মাথায় গভীর গর্তে পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারিরা। সড়ক জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যান-বাহন।
তমালতলা বাজারের দোকানী সাইফুল জানান, বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা, জামনগর, সদর ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষকে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই প্রধান সড়ক ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া জেলার সর্ববৃহৎ আমের আড়ত তমালতলা বাজার। আম পরিবহনের জন্য ট্রাকসহ বিভিন্ন যান-বাহনের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু সড়কটি নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, দুই উপজেলার ৫টি সড়ক নিয়ে একটি প্যাকেজ প্রোজেক্টের আওতায় এই সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলার ৩টি সড়কের মধ্যে দুইটির কাজ চলছে। তবে এই সড়কটি আরসিসি করার প্রস্তাব উর্দ্ধতন বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। সে কারনে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে দূর্ভোগ লাঘবের জন্য বৃষ্টি কিছুটা কমলে খন্ডকালিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/অ
