নাচোলে ভূয়া সমিতির নামে পুকুর ইজারা নেয়ার অভিযোগ

নাচোল প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বেশ কিছু সরকারী পুকুর ভূয়া সমিতিসহ মসজিদ, মন্দিরের নামে ইজারা নেয়ার অভিয়োগ উঠেছে। এসব সংগঠনের নামে পুকুর লীজ নিয়ে রাতের আধারে হাত বদলের অভিযোগও উঠেছে। এমন একটি সমিতির নামে ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পশ্চিম লক্ষণপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে। পুকুরটি নাচোল পৌর এলাকার বান্দ্রা মহল্লায় অবস্থিত।

প্রতিকার চেয়ে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেছেন পুকুর পাড়ে বসবাসরত পরিবারের পক্ষে বাবুল আখতার নামের এক ব্যাক্তি। তবে পশ্চিম লক্ষণপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি মো. অসিম আলী পুকুর ইজারা

জানাগেছে, নাচোল পৌর এলাকার বান্দ্রা মহল্লায় হাল ৩৭৪ নং পুকুরটির পরিমান ০.৫৮(একর)। পুকুর পাড়ে ৮/১০টি ভুমিহীন পরিবার কয়েক যুগ ধরে ভোগদখল করে আসছেন। এবার পুকুরটি উপজেলা ভূমি অফিসের ইজারা তালিকায় দেয়া হলে পুকুরটি নেয়ার জন্য পকুর পাড়ে বসবাসরত পরিবারের পক্ষে মৃত আফসার আলীর ছেলে বাবুল আখতার গত ৯ জুলায় ১০৪৪ স্মারকে একটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি বরাবর আবেদন করেন।

এদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের “পশ্চিম লক্ষণপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির” নাম করে একটি কু-চক্র মহল পুকুরটি ইজারা নেয়ার জন্য দরপত্র দাখিল করলে আবেদনটি ওই সমিতির নামে মন্জুর হয়। বিষিটি জানতে পেরে বান্দ্র মহল্লার বাবুল আখতার পশ্চিম লক্ষনপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির খোজ খবর নিতে পশ্চিম লক্ষণ পুর গ্রামে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন সমিতির ঘরের নেই কোন অস্তিত্ব ,নেই সাইনবোর্ডও।

তার পরেও ওই গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার এর ছেলে ওয়াসিম নামের এক ব্যাক্তিকে খুজে পেলে সমিতির নাম ধাম খুজে পায়। পরে ওয়াসিম এর নিকট থেকে পশ্চিম লক্ষণপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির খোজ পেলেও সরকারী পুকুর লীজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান সমিতির সভাপতি। পরে সমিতির সভাপতিকে স্থানীয় বেশ ক’জন গণমাধ্যম কর্মীর নিকট হাজির করলে সে সমিতির মাধ্যমে পুকুর ইজারার বিষয়টি জানেননা বলে সাফ জানিয়ে দেন।

ধারণা করা হচ্ছে একটি জালিয়াত চক্র সমিতির কাগজপত্র নিয়ে এ ধরনের অনেক জালিয়াতির কার্যক্রম চালাচ্ছে, সেই সাথে উপজেলা ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে উপজেলার অনেক সরকারী খাস পুকুর, মসজিদ, মন্দিরের নামে ইজারা নিয়ে জাল স্বাক্ষর করে রাতারাতি থার্ডপাটিকে হস্তান্ত করছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মর নাম ব্যবহার করে সরকারকে রাজস্ব প্রদান না করে ও ইজারা না নিয়ে বছরের পর বছর পুকুর ভোগ দখল করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমিতির সভাপতি সম্পাদক ছাড়া অন্যকোন ব্যাক্তিকে ডিসি আর দেয়া হবেনা, তবে খাস পুকুর সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।