না’গঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ, যেসব আলামত পেল সিআইডি

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার আলামত বুঝে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মামলার আলামত ও কাগজপত্র ফতুল্লা পুলিশের পক্ষ থেকে সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ জব্দ করা আলামত রাখার জায়গা না থাকায় সেগুলো ফতুল্লা থানার মালখানাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা।

যেসব আলামত পেল সিআইডি

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের নয় দিন পর পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন আসবাবপত্র আলামতের জব্দ তালিকা ধরে সেগুলো বস্তাবন্দি করেছেন ফতুল্লা থানা পুলিশের একটি দল।

রোববার দুপুরে এএসআই বারেকের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা পুলিশ মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্যান, চেয়ার, দেয়াল ঘড়ি ও জুতা রাখার বাক্সসহ পুড়ে যাওয়া সব আসবাবপত্র সংগ্রহ করে আলামতগুলো থানায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে কয়েকটি বস্তায় ভরা হয়।

মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক বাবুল হোসেন বলেন, আমরা আলামত দেখেছি এবং কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। স্থান সংকুলন না হওয়ায় আলামতগুলো ফতুল্লা পুলিশের মালখানায় রাখা হচ্ছে। মামলার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন পেশ করার সময় সকল আলামত আমরা আদালতের কাছে বুঝিয়ে দেব।

তিনি বলেন, কোনো আলামত তদন্ত কাজে প্রয়োজন হলে বা নিরীক্ষনের প্রয়োজন হলে আমরা ফতুল্লা থানার মালখানা থেকেই সংগ্রহ করবো।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাফলতির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে সকাল থেকে মসজিদের সামনের রাস্তায় তৃতীয় দিনের মতো মাটি ভরাটের কাজ করছেন তিতাসের কর্মীরা। বিস্ফোরণের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ মসজিদের তিন পাশে গ্যাসের লাইনের অবস্থান ও লিকেজ অনুসন্ধান করতে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করলে গর্তগুলো সৃষ্টি হয়।

গর্তের মাটিগুলো মসজিদের সামনের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা হলে এলাকাবাসীর চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

টানা চারদিন খোঁড়াখুঁড়ির করে গ্যাসের পাইপ লাইনে ছয়টি লিকেজও পাওয়া যায়। তবে আর লিকেজ পাওয়ার আশংকা না থাকায় রাস্তাটি মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে গত শুক্রবার থেকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ করে গর্তগুলি ভরাটের কাজ শুরু করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।