নভেম্বরের আগে কাটছে না ভ্যাপসা গরম

এ বছর বর্ষায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও বাতাসের প্রবাহ শক্তিশালী ছিল না। আবার দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

দেশের কোথাও প্রচণ্ড ভারি বৃষ্টির দেখা তেমন মেলেনি। নিয়মিত টানা বৃষ্টিপাতের ঘটনাও ঘটেনি। এসব কারণে এ বছরের বর্ষাকে ‘দুর্বল বর্ষা’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন আবহাওয়াবিদরা। আর এই দুর্বল বর্ষার কারণেই অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েও গরম কমছে না।

আবহাওয়াবিদ এম এ মান্নান বলেন, অক্টোবর মাসে গরম কমার তেমন সম্ভাবনা আর নেই। এমনকি আগামী চার-পাঁচ দিন ভাপসা গরমের মাত্রা প্রায় এমনই থাকবে। নভেম্বরের শুরুর দিকে কিছুটা শীতের অনুভূতি পাওয়া গেলেও শীতের তীব্রতা বাড়তে আরো সময় লাগবে।

তিনি বলেন, মূলত এই বর্ষায় গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থাকলেও অনেক অঞ্চলে তেমন বৃষ্টি হয়নি। তাই এটাকে অস্বাভাবিক বর্ষাকালও বলা যায়। আর বর্ষায় এমন অস্বাভাবিক আচরণের কারণেই বাংলাদেশসহ এর আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। এখনো এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি বিরাজ করছে। যত দিন পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাতাস প্রবহমান না হবে তত দিন পর্যন্ত এমন গরম থাকবে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। যদিও পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ