সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
নারী সাফজয়ী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম তারকা সুমাইয়ার গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে আনন্দের জোয়ার বইছে।
সুমাইয়া উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মো. মাসুদুর রহমান ও মাসুশিমা তন্মীর কন্যা। সে ঢাকা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি নারী ফুটবল খেলায় পারদর্শী। তার জন্ম হয়েছে জাপানে। মাসুদ-তন্মী দম্পতির এক মেয়ে দুই ছেলে। সুমাইয়া সবার বড়। ছেলে দুটিও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী।
বড় ছেলে ওমর ফারুক অস্ট্রেলিয়ায় একটি ক্লাবে ফুটবল খেলায় জড়িত। ছোট ছেলে মো. জাহিদ জার্মানিতে আছে। সেও ফুটবল খেলার প্রতি বেশ অগ্রসর। ছোটবেলা থেকেই সুমাইয়ার ফুটবল খেলায় বেশ ঝোঁক ছিল।
সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি দীর্ঘ সময় জাপানে থাকার সুবাদে সেখানেই দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এরপর দেশে আসা যাওয়ার মাঝে আছেন। মেয়ের এ কৃতিত্বের খবরে তারা সবাই আনন্দিত। এলাকার মানুষ মেয়েকে কাছ থেকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে আছেন। তার এ কৃতিত্ব অর্জনের খবরে সকাল থেকেই গ্রামের লোকজন বাড়িতে আসা যাওয়া করছেন। আমরা সবাই ওর অপেক্ষায় আছি।
এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সাফজয়ী মাতসুশিমা সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দেবে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানকে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে বলেছেন। চেয়ারম্যান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, নবাবগঞ্জের একজন নারী যে গৌরব অর্জন করেছে তা প্রশংসনীয়। তাকে সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে আরও উৎসাহিত করা উচিত। সেই বোধ থেকেই আমরা এটা করতে ইচ্ছুক।
সূত্র: যুগান্তর