সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় দেশটির ক্রিকেটের উড়ন্ত গতি থেমে যাবে বলে শঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই।
যদিও তালেবানরা জানিয়েছেন ক্রিকেট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তারা ক্রিকেট ভালোবাসেন। আফগানিস্তানের ক্রিকেটে বরং আরও উন্নতি আনতে সচেষ্ট হবেন তারা।
তালেবানের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ফল দেখাও গেছে ইতোমধ্যে। নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলংকায় পাকিস্তানের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে রাজধানী কাবুলেই অনুশীলন করছেন আফগান ক্রিকেটাররা। শ্রীলংকার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান হাভিস্কা গুণবর্ধনেকে ব্যাটিং কোচ হিসেবেও পেয়েছেন রশিদ-নবীরা।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি জানিয়েছেন, শিগগিরই শ্রীলংকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে দল।
কিন্তু এর পরও শঙ্কা থেকেই গেল। সেটি হচ্ছে— নিরপেক্ষ শ্রীলংকায় কোন পতাকাতলে খেলবে রশিদ খানের দল!
এসিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ‘বিশ্বস্ত সূত্র’কে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ লিখেছে— তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের বাইরে আসতে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়েছে দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দল।
এর একটি হচ্ছে— আফগান ক্রিকেটাররা তালেবানের কাছ থেকে কীভাবে অনুমতি নেবে, সে বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে— তারা কোন পতাকা নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে? পুরনো পতাকা, নাকি কাবুল দখলের পর নতুন পতাকা উড়িয়েছে তালেবান সেটি?
তৃতীয়টি হচ্ছে— আফগান ক্রিকেট বোর্ড কী আগের আবদুল গনি সরকারের নিয়মেই চলবে, নাকি তালেবানকে সন্তুষ্ট করে মানিয়ে নেবে?
সেই সূত্রের দাবি, ‘দেশ ও বোর্ডের পতাকা, বোর্ডের অর্থনৈতিক বিষয়াদি সামলানো, টিম ম্যানেজমেন্ট—এসবই এখন প্রশ্নের মুখে। তালেবান মদদপুষ্ট ব্যবস্থাপনা বোর্ড এ মুহূর্তে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শ্রীলংকা সফরে যাওয়া বড় একটি চ্যালেঞ্জে রূপ নিয়েছে আফগান বোর্ডের জন্য।
এদিকে সিরিজের আয়োজক আফগানিস্তান হওয়ায় পুরো ভাবনাটাই এসিবির ওপর ছেড়ে দিয়েছে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড)।
এ বিষয়ে পিসিবি অফিশিয়াল বলেছে, ‘এখনও কিছুই নিশ্চিত নয়। ক্যাম্প কবে শুরু হবে কিংবা সম্ভাব্য তারিখও ঠিক হয়নি। আপাতত যেটি নিশ্চিত করতে পারি, আফগানিস্তান সিরিজে বিশ্রাম চেয়েছেন চার ক্রিকেটার। সেটি তাদের প্রাপ্যও। সিরিজ মাঠে গড়ালে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলীকে পাওয়া যাবে না।’
সূত্র: যুগান্তর
স/জে