নতুন রূপে ফিরল বাণিজ্য মেলা

সব শঙ্কা আর সংশয় কাটিয়ে অবশেষে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নতুন পরিসরে নতুন জায়গায় শুরু হলো। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। এর আগে ২৫টি মেলা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের খোলা জায়গায়।

গতকাল উদ্বোধনের পরপরই বাণিজ্য মেলায় ভিড় করতে শুরু করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তবে এখনো মেলা আঙ্গিনায় স্টল প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পসরা সাজিয়ে বসেছে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখছে দর্শনার্থীরা। দর্শনার্থী ফাহিম শেখ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মেলার আজ প্রথম দিন। স্টলই এখনো সাজানো শেষ হয়নি। এর পরও মনে হচ্ছে, রাজধানীর শেরেবাংলানগরের চেয়ে এখানকার আয়োজন বেশ জাঁকজমকপূর্ণই হবে।’

তিনি বলেন, ‘খোলামেলা পরিসর। এক স্টল থেকে আরেক স্টলের দূরত্ব। সব কিছু মিলে একটি আন্তর্জাতিকমানের মেলার আয়োজন করেছে ইপিবি। যেমনটা চীন, জার্মানিসহ বিশ্বের বড় বড় মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে।’ তবে অনেক দর্শনার্থী বলছে, মেলা কর্তৃপক্ষ কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০টি বিআরটিসি বাস দিয়েছে। এর পরও রাজধানী থেকে দূরে হওয়ায় পরিবহনের ভোগান্তিতেও পড়েছে দর্শনার্থীরা। স্বস্তির জায়গা হলো, মেলায় প্রবেশে শেরেবাংলানগরে যে ধরনের ভিড় আর যানজটের কবলে পড়তে হতো, এবার সেটা নেই।

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবারের বাণিজ্য মেলায় বাইরে ও ভেতরে ২২৫টি স্টল দেওয়া হয়েছে। করোনার কথা বিবেচনা করে মেলায় স্টলের সংখ্যা কমানো হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অন্যান্য বছরের মতো মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার টিকিটের মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, শিশুদের জন্য ২০ টাকা।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ