শনিবার , ২ নভেম্বর ২০১৯ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নতুন আইনকে ‘সমর্থন’, তবে সংশোধনও চান পরিবহন মালিকরা

Paris
নভেম্বর ২, ২০১৯ ৮:৪২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নতুন সড়ক পরিবহন আইনকে ‘সমর্থন’ জানিয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন। কিন্তু আইনের কিছু অংশকে কড়া আখ্যা দিয়ে, এর সংশোধন প্রয়োজন বলেও মনে করেন মালিক নেতারা। তাদের দাবি, নতুন আইনে কড়াকড়ির ফলে চালক সঙ্কট হবে। ভোগান্তি হবে যাত্রীরা।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।

তিনি বলেন, আইন কার্যকর করা হলেও এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। বিধিমালা ছাড়া আইন সম্পূর্ণতা পায় না। দ্রুত বিধিমালায় প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা ১০ থেকে হাজার গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে কারাবাসের মেয়াদও।

মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, তারা আইনটিকে কঠোর মনে করেন। সংশোধন ছাড়া আইন কার্যকরের বিরোধী ছিলেন পরিবহন নেতারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাত্র সাত দিন সময় দিয়ে আইনটি কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ থাকায় তারা আইনের প্রকাশ্য বিরোধিতা করতে পারছেন না।

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনেও পরিবহন মালিক নেতারা সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন সম্পর্কে। তারা আইন বাস্তবায়নে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা যেমন বলেছেন, আবার সংশোধনের দাবিও তুলেছেন।

সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। এ আইন মেনে চলতে আমরা পরিবহন মালিকদের আহ্বান জানাব। পাশাপাশি এ আইনের অনেকগুলো ধারা আছে, যা এই মুহুর্তে বাস্তবায়ন সম্ভব না। আইনের কিছু ধারা যেন সংশোধন করা হয়।

খন্দকার এনায়েত বলেন, আইনের জামিন অযোগ্য ধারাটিসহ তিন-চারটি ধারা সংশোধন করা প্রয়োজন বলে পরিবহন মালিকরা মনে করেন। শ্রমিকদের পক্ষ থেকেও প্রস্তাব এসেছে সব ধারা জামিনযোগ্য করার। বর্তমানে চালকের সঙ্কট রয়েছে। জামিন অযোগ্য যদি হয়, দুর্ঘটনা ঘটলেই চালক যদি জেলখানায় চলে যায়। যদি জামিন না হয়, তাহলে চালকের সঙ্কট আরও বাড়তে থাকবে। তখন কী পরিস্থিতি হবে?

জাতীয় পার্টির মহাসবিচ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, মালিক শ্রমিকরা যেন অকারণে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। দুর্ঘটনার মামলা যেনো ৩০৪(খ) ধারার পরিবর্তে ৩০২ ধারায় দায়ের করা না হয়। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় ড্রাইভার কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করেছে, সেক্ষেত্রে ৩০৪(খ) ধারা ৩০২ ধারায় স্থানান্তর করলে আপত্তি নাই।

নতুন আইনে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা রয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ বলেন, গাড়ির মালিকের সব কাগজপত্র এবং চালকের লাইসেন্স ঠিক থাকার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য মালিকদের বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে পরিবহন খাত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সর্বশেষ - জাতীয়