নিজস্ব প্রতিদবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর শাহ্মখদুম থানার বড়বনগ্রাম এলাকা হতে একটি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাটারী চালিত অটো কাভার্ড ভ্যানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চুরির ঘটনায় চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নগরীর শাহ্মখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোর ও খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১০ হাজার টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ অটো ভ্যানটি উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সপুরা ম্যাচ ফ্যাক্টরী এলাকার আব্দুল মোতালেবে ছেলে আল আমিন ভান্ডারী (২৪), শালবাগানের এলাকার সেন্টু বাবুর্চির ছেলে মিনহাজ আলী জয় (২৬), এলাকার মৃত ইকবালের ছেলে সারোয়ার হোসেন পার্থ (২২) ও ইমামুল শেখ রবে ছেলে ইমামুল (৩২)।
নগরে পুলিশ জানায়, সিয়াম একটি খাদ্য পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে চাকরি করেন। তিনি গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ৯ টায় পণ্য সরবরাহের জন্য ভ্যান নিয়ে মালামালসহ বাসা থেকে বের হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় শাহ্শখদুম থানার বারো রাস্তার পাশে বখশীয়া খানকাহ শরীফের সামনে অটো ভ্যানটি রেখে খানকাহ শরীফের ভিতরে বাথরুমে যান। তিনি কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন তার অটো ভ্যানটি নাই। তিনি আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে বুঝতে পারেন যে, তার ভ্যানটি চুরি হয়েছে। তখন তিনি বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের মালিক রাকিবুল হাসান জুয়েলকে অবগত করেন। জুয়েল শাহ্মখদুম থানায় ওই দিনই একটি চুরির মামলা করেন।
চুরির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহ্মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোবারক পারভেজ সঙ্গীয় ফোস নিয়ে অভিযান শুরু করেন। গত ২৩ মার্চ সকাল ৮ টায় শাহ্মখদুম থানা পুলিশের ওই টিম আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আল আমিন ভান্ডারীকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করেন। এসময় তার দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ীর পিছন হতে ভ্যানের বিভিন্ন অংশ খোলা অবস্থায় উদ্ধার করেন।
শাহ্শখদুম থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দিন দুপুর ২ টায় তার সহযোগী মিনহাজ, সারোয়ার ও ইমামুলকে আনুমানিক ১০ হাজার টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও চোরাই কাভার্ড ভ্যানটির কিছু অংশ-সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে মহানগরের বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
