নওগাঁ-৬: বিএনপি ডজন ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর:


নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপি’র প্রায় এক ডর্জন ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ধানের শীষে নজর প্রায় এক ডর্জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর। কে পাচ্ছেন ধানের শীষের প্রতিক তা নিয়ে দ্বিদ্ধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়েও দ্বিদ্ধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এলাকার মানুষের মাঝে আলোচনার বিষয় প্রার্থীর। এ আসনটিতে বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এদিকে প্রার্থী চুড়ান্ত করে (৭ সেপ্টেম্বর) সোমবার মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।


গত ২৭ জুলাই এই আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। তফশীল ঘোষণা করা হলেও এখনো প্রার্থী চুড়ান্ত করেনি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। তবে এ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ও ধানের শীষের প্রতিক পেতে বিএনপি’র প্রায় এক ডর্জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে জাপা’র কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী- সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও নওগাঁ জেলা তাঁতীদলের সভাপতি এছাহক আলী, কর্ণেল (অব;) আব্দুল লতিফ খাঁন, আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম রেজু শেখ, যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেলাল, রাণীনগর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এসএম আল-ফারুক জেমস, নওগাঁ জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক এ্যাড: রফিকুল ইসলাম, সদস্য শুকুর আলী, রতন মোল্লাহ এবং আত্রাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রজার মোল্লাসহ আরো কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে।

এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রাণীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী গোলাম কবির ও আত্রাই উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: মোফাজ্জল হোসেনসহ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনে পুনরায় আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন এবং একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০০৮ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন সদ্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম এমপি।

এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে পূনরায় বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করে আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহনের দিন ধার্য করে তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

স/আ