নওগাঁয় চিকিৎসকসহ আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত, মোট ১০০২

নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নওগাঁয় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২ জন। আজ রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাবে নওগাঁ থেকে পাঠানো ৫৮টি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন গতকাল শনিবার রাতে পৌঁছায়। এর মধ্যে ৯ জনের প্রতিবেদনে করোনা পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় একজন চিকিৎসকসহ ৬ জন এবং মহাদেবপুর উপজেলায় ৩ জন আছেন।

গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগরে প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। নওগাঁ থেকে পাঠানো ৮ হাজার ৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত কোভিড–১৯ শনাক্ত ৮৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার প্রায় ৮৫ শতাংশ। মারা গেছেন ১৪ জন।

বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন নওগাঁর বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে নওগাঁয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে। গত জুলাই মাসে ৩১ দিনে জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২ হাজার ৭৫০ জনের। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে গতকাল শনিবার পর্যন্ত (৮ দিনে) নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫৮ জনের। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে।

জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বেশ কিছু কারণে নমুনা সংগ্রহ কমেছে। আগে সংক্রমণের ১৪ দিন পর ফলোআপ নমুনা সংগ্রহ করা হতো, এখন সেটি নেওয়া হচ্ছে না। ফি নির্ধারণের কারণেও নমুনা সংগ্রহ কমেছে। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, সচেতনতার অভাবে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন না। এতে একপ্রকার তথ্য গোপন থাকছে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।