নওগাঁয় আরও সাত দিন বাড়ল বিধিনিষেধ, ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ১২৫

আজ দুপুরে চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৩ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলার পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলার হাটবাজার এলাকায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনার সংক্রমণের হার কিছুটা কমে যাওয়ায় ১০ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত পুরো জেলায় ১৫ দফার বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

আজ বুধবার চলমান বিধিনিষেধের শেষ দিনে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

১৫ দফা বিধিনিষেধে বলা হয়, জেলায় সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধু পার্সেল আকারে বা অনলাইনে অর্ডার গ্রহণ করে খাবার বিক্রয় করতে পারবে। রাস্তার পাশে চায়ের দোকান খোলা রাখা যাবে না। ওষুধ, খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবার মতো প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

ঘোষণা অনুযায়ী, নওগাঁ জেলার সঙ্গে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার যাতায়াতের সব পথ বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে নিয়ামতপুর উপজেলা বাদে অন্যান্য উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাস আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সিএনজি ও অটোরিকশা শুধু দুজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে।

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত, আরও দুজনের মৃত্যু
আজ দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনা–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এটি এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে ৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে জেলায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৬১।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ওই দুই ব্যক্তি নিয়ামতপুর উপজেলার বাসিন্দা। প্রথম আলো