ধামইরহাটে শাশুড়ীকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে

ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে আপন শাশুড়ীকে ধর্ষণ করল জামাই। ঘটনাটি উপজেলার চকশব্দল গ্রামের ঘুকসী খাড়ির পূর্ব পাড়ে ঘটে। ধর্ষিতা (৭০) বাদী হয়ে লম্পট জামাইকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে লম্পট জামাই পলাতক রয়েছে। এদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারী সম্পন্ন হয়েছে।

ধামইরহাট থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই বুধবার জৈনিক তার মেয়ে জামাই ফেরদৌস হোসেন (৫০) কে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত চকশব্দল গ্রামের ঘুকসী খাড়ী এলাকা থেকে ঝাটা তৈরির কুশ (বিন্না খেড়) কাটতে যায়। বিকেলে কুশ কেটে বাড়ী ফেরার পথে মাঠের মধ্যে লম্পট জামাই ফেরদৌস হোসেন কুশের উপর শাশুড়ীকে ফেলে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে অসুস্থ্য হয়ে পড়া শাশুড়ী হাসিনা বেওয়া কে ভ্যান যোগে তার বাড়ীতে পৌছে দেয় জামাই ফেরদৌস। ওই রাতে শাশুড়ী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

জৈনিকের প্রায় ১৬ বছর পূর্ব তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সে কুশের ঝাটা তৈরি করে মানুষের দ্বারে দ্বারে বিক্রি করে সংসার চালাতো। প্রায় ২০ বছর আগে তার মেয়ের সাথে ফেরদৌসের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তার বাড়ীর পার্শে সরকারি খাস জমিতে বসবাস করছে মেয়ে জামাই। ফেরদৌস হোসেন জয়পুরহাট সদর থানার উত্তর জয়পুর (কুঠিবাড়ী ব্রীজ) এলাকার মৃত ছফের আলীর ছেলে।

এব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার মো.আব্দুল মমিন বলেন,ধর্ষিতা বাদী হয়ে আপন জামাই ফেরদৌস হোসেনে কে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৫,তারিখ-০৪/০৮/২০২০ ইং।  বুধবার ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা নওগাঁ সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষক ফেরদৌস হোসেন কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।