ধামইরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ বিল কালেকশন সেন্টারে গাদাগাদি

ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা দিতে গিয়ে গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব মানার কোন বালাই দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে সর্বত্র স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি মানা হচ্ছে না। এদিকে দিন দিন করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের সচেতনতার অভাবে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধিনে ধামইরহাট জোনে প্রায় ৫৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। অধিকাংশ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল জমা দেন। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ইসলামী এজেন্ট ব্যাংক এবং মিউচ্যাল ট্রাস্ট এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিল জমা নেয়া হয়। তবে অধিকাংশ গ্রাহক ব্যাংকের হয়রানী শিকার থেকে রক্ষার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল জমা দেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এসব বিল জমা দিচ্ছে গ্রাহকরা। শুধু বিদ্যুৎ বিল নয় কোনও জায়গায় মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না।

সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলার বিধান থাকলেও তা কেউ মানছেন না। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে। স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ছাড়া আর কোন উদ্যোগ নেই।

বর্তমানে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রবিবার পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট ৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগির মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনের রয়েছে একজন এবং একজন পলাতক রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২জন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৮৯ জন।

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো.শাহীন কবির বলেন,গত দুই মাস বিদ্যুৎ বিল নেয়া বন্ধ ছিল। এ কারণে গ্রাহকরা হুমড়ি খেয়ে বিল পরিশোধ করছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে উপজেলার খেলনা,আগ্রাদ্বিগুন,জাহানপুর,ইসবপুর ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ীভাবে বিল জমা নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া গ্রাহক যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সহজে বিল জমা দিতে পারে সেজন্য ধামইরহাট সরকারি এম এম কলেজ,ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে পৃথক ৫টি বুথ খোলা হয়েছে। তারপরও মানুষ ধৈয্যসহকারে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিল জমা দিচ্ছে। সত্যিই এটি আমাদের জন্যও বিপদজনক।

স/অ