ধামইরহাটে ধানের মূল্য প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে গো খাদ্য খড়

ধামইরহাট  প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর ধামইরহাটে ধানের মূল্য প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে গো খাদ্য হিসেবে পরিচিত ধানের খড়। দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টিপাত এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় গো খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় খড়ের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিনিদি বিপুল সংখ্যক ট্রাকের মাধ্যমে খড় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে খড়ের দাম পেয়ে এলাকায় কৃষকগণ বেশ খুশি।

জানা গেছে,চলতি বর্ষা মওসুমে দীর্ঘ দিন  ধরে একটানা বৃষ্টিপাত এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বন্যা দেখা দেয়। এতে বিপুল সংখ্যক গরুর খামারে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। অধিকাংশ খামারে সাধারণ ধানের খড় এবং তার সাথে বিভিন্ন ধরে খাদ্য সংমিশ্রন করা গরুর খাদ্য তৈরি করা হয়। কিন্ত  একটানা বৃষ্টিপাতা ও বন্যার কারণে অধিকাংশ খড় নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে খড় কিনছে।

বর্তমানে আউশ ধানের বাজার দর চলছে ৯শত টাকা মণ। খড় প্রকারভেদে ৪শত থেকে ৫শত টাকা দরে কেনা বেচা চলছে। মইশড় গ্রামের কৃষক মো. ফারুক আজিজ কামাল বলেন,তার চার একর জমির খড়ের পালা সাড়ে আট হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছি। ওই পালা ১৬ হাজার টাকা কিনেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেপারীরা। অন্য বছর মাত্র দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।

অন্য বছরের তুলনার এবার ধানের খড়ের ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে বন্যা কবলিত পাবনা,সিরাজগঞ্জ এবং গাইবান্ধা এলাকার গো খামারিয়া কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খড় ক্রয় করছে। উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দিলালপুর (পাঁচপুকুরিয়া) গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন,মাঝারি আকারের একটি খড়ের পালা ১৫ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। ওই পালা বেপারীরা ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন,এবার ধান দাম পেয়ে কৃষকরা বেশ খুশি। তারপর খড়ের দাম অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কৃষকরা ধানচাষে শ্রমিকের মজুরী হিসেবে এ খচর মিটাতে পারবে। তাছাড়া আপদকালীন সময়ে গো খাদ্য হিসেবে খড়ের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এতে ধান চাষীরা ধান চাষে আগ্রহী হবে।

স/আ.মি