ধামইরহাটে দোতলা মাটির এসি বাড়ি দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভীড়

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটে মাটির দোতলা এসি বাড়ী দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভীড় বেড়েই চলছে। উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামে এ বাড়ী অবস্থিত। এ বাড়ীর সৌন্দর্য ও গরমের সময় ঠান্ডা এবং ঠান্ডার সময় গরম অনুভূত হওয়ার দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এ বাড়ী দেখতে আসে। বাড়ীর লোকজন অত্যন্ত যত্নসহকারে কৌতুহলী মানুষকে বাড়ী ঘুরে দেখান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা গেছে,ফতেপুর চৈতন্যপুর গ্রামের মৃত নইমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে ইয়াকুব আলী প্রায় ৩০ বছর আগে একটি মাটির দোতলা বাড়ী নির্মাণ করেন। ত্রিশ শতাংশ জমিতে তার বসতবাড়ী রয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ জমিতে পুকুর রয়েছে। বাড়ীটির দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট এবং প্রস্ত ২৪ ফুট। বাড়িটির নিচতলায় তিনটি রুম এবং উপর তলায় রয়েছে দুটি রুম। বাড়ীটি মাটি দিয়ে তৈরি হলেও দেওয়ালে কিছু অংশ মাটি তুলে সেখানে বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ওয়ালগুলো পলেস্তারা করা হয়েছে। বাড়ীর ভেতরের ঘরের সাথে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমম্বিত ওয়াস রুম রয়েছে। এছাড়া বাড়ীর ভিতরে বারান্দার মেঝে টাইলস করেছেন। ঘরের মেঝে পলেস্তারা করা রয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর আগে পুরো বাড়ীটি আকর্ষণীয় ডিসটেমপার রং করেছেন। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন সদ্য নির্মিত একটি পাকা দোতলা বাড়ী। তবে দোতলার ছাউনিতে রয়েছে ঢেউ টিন। এ টিন থাকায় বোঝা যায় এটি মাটির বাড়ী।

এ ব্যাপারে নওগাঁ আইনজীবি সহকারি (মহুরী) মো.ইয়াকুব আলী বলেন,রাস্তার পার্শ্বে তিনি ৩০ শতাংশ জমির উপর বসতবাড়ী নির্মাণ করেছেন। মাটি দিয়ে দোতলা বাড়ী নির্মাণ করায় তিনি অনেক শান্তিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শীতের সময় মাটির বাড়ীতে প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়। একইভাবে গরমের সময় ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠিক যেন এসি ঘরের মতো। বিদ্যুৎ না থাকলে গরমের সময় তার কোন সমস্যা হয় না। বাড়ীতে সোলার থাকায় বিরতিহীনভাবে বাতি ও টেবিল ফ্যান চলে। রাতে টেবিল ফ্যান চালু করলে শরীর জুড়ে যায়। বাড়ীটি থেমে থেমে নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারণে কত টাকা খরচ হয়েছে তা বলা মুশকিল। তার বাড়িটি দেখার জন্য দুর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে।

নওগাঁ জজ কোর্টের অনেক আইনজীবি এ বাড়ী দেখতে এসেছিলেন। এছাড়া রাস্তার পার্শ্বে এ বাড়ী হওয়ায় পথচারীরা এ বাড়ী দেখতে ভুল করেন না। যারা বাড়ী দেখতে আসে আমার পরিবারের লোকজন যত্নসহকারে পুরো বাড়ী ঘুরে দেখান। এতে তাদের কোন বিরক্ত মনে হয় না। ঠিক মতো বাড়ীর সংস্কার কাজ করলে এ বাড়ী আরও প্রায় ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

জেএ/এফ