ধামইরহাটে ট্রাক্টরের কারণে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ছে গ্রামীণ সড়কগুলো


ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে অবৈধ ট্যাক্টরে অতিরিক্ত বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। অবৈধ এ যানবাহনের কারণে সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার জনগণের ভোগান্তি চরক আকার ধারণ করেছে। এলজিইডির পক্ষ থেকে গর্তে খোয়া ও বালু ফেলে রাস্তা সচল করার চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার আত্রাই নদীর বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে বালু মহলের ইজারাদার। আত্রাই নদীর রাঙ্গামাটি, ছালিগ্রাম, শীমুলতলী ব্রীজের উত্তর পাড় থেকে মেশিন দিয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ নদীর বালুর গুনগত মান ভালো হওয়ার এ চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আত্রাই নদী থেকে বালু ভর্তি ট্যাক্টরগুলো রাঙ্গামাটি-আমাইতাড়া উপজেলা সড়ক ব্যবহার করছে। সড়কটি মূলত আলমপুর ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য উপজেলা সড়ক হিসেবে পরিচিত। ধামইরহাট পার্শ্ববর্তী সাপাহার,পোরশা উপজেলা এবং জয়পুরহাট জেলা সদরে প্রতিদিন শত শত বালু বোঝাই ট্যাক্টর (মেসি) যাতায়াত করছে। অনেক সময় এসব বালু পয়েন্টে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলে পার্শ্ববর্তী পত্নীতলার উপজেলার বুড়িদহ ঘাট থেকে বালু পরিবহন করা হয়। আর এসব বালু পরিবহন কাজে অবৈধ ট্যাক্টর বেশি ব্যবহার হয়। অধিক লাভের আশায় ট্যাক্টরগুলোর বডির স্বাভাবিক মাপের ওপর কাঠ ও বাঁশ ব্যবহার করে অতিরিক্ত বালু পরিবহন করা হয়।

ট্যাক্টরগুলোর রুট পারমিট না থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো চলাচল করছে। এ রাস্তার রাঙ্গামাটি কৃষি ব্যাংকের দক্ষিণ পার্শে,রঘুনাথপুর বাজারের পশ্চিম দিকে এবং দয়ালের মোড় নামকস্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ গর্তের কারণে জনগণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

রঘুনাথপুর গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী ওহেদুল ইসলাম বলেন,শুধুমাত্র ট্যাক্টরের কারণে এ রাস্তাগুলো নষ্ট হচ্ছে।

শালুককুড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক আক্ষেপ করে বলেন,রাস্তায় গর্র্ত হওয়ার কৃষি পণ্যসামগ্রী হাট বাজাতে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

ধামইরহাট বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী সামু প্রসাদ সাহা বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে তার মালামাল আনা নেয়া করতে হয়। কিন্তু রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

এব্যাপারে এলজিইডি ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, এ রাস্তায় যেসব গর্ত হয়েছে সেগুলো বালু ও খোয়া দিয়ে ভরাট করে রাস্তাটি সচল করা হয়েছে। রাস্তাটি মূলত উপজেলা সড়ক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্যাক্টর চলাচল করছে। রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিকহারে মালামাল পরিবহন করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ট্যাক্টরগুলোর বড়ির স্বাভাবিক মাপের উপর বাঁশ ও কাঠের তক্তা দিয়ে অতিরিক্ত বালু পরিবহন করছে।

উপরোন্ত এসব ট্যাক্টর নিয়ন্ত্রণহীন গতিবেগে চলাচল এবং চাকার ধরণ রাস্তার জন্য ক্ষতিকর। রাস্তাটি সংস্কার ও ১৮ ফুট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

স/অ