ধামইরহাটে চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দুইপক্ষের মাঝে সমঝোতা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগা: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী কর্তৃক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়েছে।
চিকিৎককে আক্রমণকারী রোগী মুচলেকা ও ক্ষমা চাওয়ায় এ ঘটনার রেষ শেষ হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নেয়ার জন্য ধামইহাট পৌরসভার অন্তর্গত উত্তর চকযদু (নয়াপাড়া) গ্রামের মো.আবুল কাশেম এর মেয়ে জান্নাতুন তার দুই বোনকে নিয়ে আসে। ওই সময় বর্হিবিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) কাজী ফজলে রাব্বী শিহাব রোগিদের চিকিৎসা প্রদান করছিলেন।
লাইনে না দাঁড়িয়ে এবং অন্যান্য রোগীকে অতিক্রম করে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করে জান্নাতুন। এভাবে লাইনভেঙ্গে নিয়ম না মেনে রুমে প্রবেশ করা ঠিক হয়নি-একথা চিকিৎসক শিহাব বলেন। এতে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায়। একপর্যায়ে জান্নাতুন ওই চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে।
এসময় উপস্থিত অন্যান্য রোগী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হলে জান্নাতুন তার বোনদের নিয়ে ওই স্থান থেকে সটকে পড়েন।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই দিন বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামানের সভাকক্ষে জরুরী বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে ডা.আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযাগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১৭সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে এক সমঝোতা বৈঠক বসে। বৈঠকে চিকিৎসক লাঞ্ছিতকারী জান্নাতুন ওই দিনের ঘটনার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চান এবং পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা ঘটাবেন না বলে মুচলেখা প্রদান করলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিষয়টি সুরাহা হয়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি যেহেতু সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। তাই থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন,আবাসিক চিকিৎসক আরাফাত হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ধামইরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক, জান্নাতুনের বাবা আবুল কাশেম, সাংবাদিক হারুন আল রশীদ প্রমুখ।
স/শা