ধামইরহাটে কীটনাশক দোকানে চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট


ধামইরহাট  প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে এক কীটনাশকের দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙ্গে এবং নৈশ্যপ্রহরীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দোকানের মূল্যবান কীটনাশকের কার্টুন ট্রাকে করে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং একজন নৈশ্যপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে,গত সোমবার রাত ১টায় দিকে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল ট্রাক নিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আমাইতাড়া-রাঙ্গামাটি সড়কের দয়ালের মোড় নামক এক বাজারে আসে। তারা প্রথমে ওই এলাকার শৈন্যপ্রহরী আবুল হোসেন (৭০) কে কৌশলে ডেকে নিয়ে বলে তাদের ট্রাক নষ্ট হয়েছে। ট্রাকটি এখানে রেখে মেরামত করবো। এছাড়া এ বাজারে আর কোন নৈশ্যপ্রহরী আছে কিনা সেসব বিষয়ে কৌশলে আবুল হোসেনের কাছ থেকে জেনে নেয় চোরের দল। এক পর্যায়ে চোরের দল আবুল হোসেনকে চা পান করায়। এর কিছুক্ষণ পর আবুল হোসেন অচেতন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে চোরের দল বাজারের সার ও কীটনাশকের দোকান ভাই ভাই ট্রেডার্সে হানা দেয়।

এব্যাপারে ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এএসএম এন্তাজুর রহমান লিটন বলেন,চোরেরা তার দুটি দোকানের সাটারের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রায় ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৬শত ৬২ টাকার কীটনাশকের কার্টুন চুরি করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে এসিআই,ইনতেফা,নিট কোম্পানীর কীটনাশক বেশি চুরি হয়। তিনি এই কোম্পানীগুলোর স্থানীয় পরিবেশক। এছাড়া সিনজেনটাসহ অন্যান্য কোম্পানীর বিষ চুরি হয়।

এদিকে অচেতন অবস্থায় নৈশ্যপ্রহরী আবুল হোসেনকে সকালে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপর নৈশ্যপ্রহরী ইয়াছিন আলী (৫৯) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়।

এব্যাপারে ধামইরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক মো.আবুল কালাম আজাদ বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছে। মো.ইয়াছিন আলী নামে অপর এক নৈশ্যপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। কীটনাশক দোকানের মালিক এএসএম এন্তাজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি চলছে।

স/আ.মি