ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাজশাহীতে আ.লীগের মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক  : রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে  সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে লক্ষীপুর মোড়ে “ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন” করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল লক্ষীপুর মোড় হতে শুরু হয়ে সিএন্ডবি মোড় দিয়ে আবার লক্ষীপুর মোড়ে এসে শেষ হয়।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব একেএম আতাউর রহমান।

মিছিল ও সমাবেশ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  আসাদ বলেন, বাংলাদেশের যেখানে ধর্ষণ হচ্ছে সেখানেই প্রশাসন ধর্ষকদের গ্যেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করছে। কোন ধর্ষক যাতে দলীয় লেবাস না পায় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়েছেন যে, তাদের কোন দল নাই, তারা সমাজের নিকৃষ্ট ব্যক্তি। ধর্ষণকারীদের সমাজ থেকে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবতজীবন কারাদণ্ড ছিল। কিন্ত সাধারণ জনগণ এই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন করার দাবি তুলে। এই দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করে আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনকে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা সমাবেশ ও মিছিল করেছি। যাতে সমাজের এই ধর্ষকরা এই রকম জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে। আমাদের সমাজ এবং পরিবারের সদস্যদের মাঝে মা, বোন, মেয়ে, ভাগনী আছে।

আমাদেরকে এই অপরাধ রোধ করার জন্য সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও এই সামাজিক ব্যাধি থেকে বিরত থাকার জন্য বুঝিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানবিক দিক দৃষ্টি দিয়ে নারীদের দেখে। নারীদের সম্মানের জন্য অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও মাননীয় নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল মা, বোনদের ইজ্জতের সহিত সম্মান দেখাব। এই বিষয় নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা ঘলা পানিতে মাছ শিকারের মত উসকানীমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে। সচেতন নাগরিক সমাজ এই স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,  রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বদরুজ্জান রবু, এ্যাড. মোকবুল হোসন খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলফোর রহমান, আহসান-উল হক মাসুদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক ও গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু, সাবেক ধর্ম সম্পাদক মাওলানা সিরাত উদ্দিন শাহীন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার, সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম মাস্টার, সাবেক সদস্য আক্কাস আলী, সাবেক দফরত সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক প্রভাষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আফজাল হোসেন বকুল, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান,

জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আজাদ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, পুঠিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া আক্তার সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, জেলা যুবলীগ, জেলা শ্রমিকলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

স/আ.মি