দয়া-মায়ার লেশমাত্র আওয়ামী লীগের নেই: বিএনপি

সরকার রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন, পরমত সহিষ্ণুতা, বিবেক, সহমর্মিতা ও দয়া-মায়ার লেশমাত্র আওয়ামী লীগের বিধানে নেই। দেশে যে খুন-খারাবির মহোৎসব চলছে, তাতে রাষ্ট্র এক অমানবিক চেহারায় রূপ লাভ করেছে।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

শনিবার সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের বর্বরোচিত হামলা এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলা এবং তাকে হত্যার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, সরকার রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। সহিংস সন্ত্রাসই হচ্ছে এদের রাজনৈতিক আদর্শ। সেজন্যই বিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত কায়দায়।

ফখরুল বলেন, শুধু রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষই নয়, বিবেকবান নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী যারা সত্য কথা বলছেন তারাও শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এখন হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ সন্ত্রাসের এক অভয়ারণ্যের নাম বাংলাদেশ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই। সব অবিচার-অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুস্কৃতকারীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুপথের যাত্রী হতে হলো তারিকুল ইসলামকে। তার ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। ন্যায়বিচার দেশ থেকে তিরোহিত হয়ে গেছে বলেই নিরন্তরভাবে বিরোধী পক্ষকে হত্যা করার পর বিচার না হওয়ায় হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। দুস্কৃতকারীরা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেয়া হতো, তাহলে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তারিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে জীবন দিতে হতো না।

তারিকুল ইসলামকে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। একইসঙ্গে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান তিনি।

 

সুত্রঃ যুগান্তর