দ্বৈত করারোপ পরিহার, মালদ্বীপ-চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চুক্তি

দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে মালদ্বীপের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে এ সংক্রান্ত করা চুক্তি অনুসমর্থন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে (ভার্চুয়াল) চুক্তির খসড়া অনুমোদন ও অনুসমর্থন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এ বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশ মালদ্বীপের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বাংলাদেশ ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মালদ্বীপের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৩৫-৩৬টি দেশের সঙ্গে আমাদের এরকম দ্বৈত করারোপ রহিতকরণ সংক্রান্ত চুক্তি আছে। এটার জন্য আমাদের পারস্পরিক বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত হবে। কারণ, ডুয়েল ট্যাক্সেশন হলে ব্যবসায়ীরা ওপেনআপ করতে চান না।’

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মালদ্বীপের সঙ্গে আলোচনা হয়। তখন তারা দ্বৈত করারোপ পরিহার করার লক্ষ্যে চুক্তি করা যায় কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে।

চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘অন্যান্য দেশের সঙ্গে যেভাবে দ্বৈত করারোপ পরিহারের বিষয়ে যে চুক্তি আছে সেরকমই চুক্তি।’

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে নতুন একটি রেটিফিকেশন হয়েছে।’